ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

Daily Inqilab ড. মো. নাজমুল হক নাদভী

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১১ এএম

শিক্ষার মাধ্যমে মানব সন্তানের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটে, জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচার-আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। ধীরে ধীরে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত হয়, আধ্যাত্মিকতার উন্মেষ ঘটে, মানুষের মধ্যে সক্ষমতা তৈরি হয়, যাতে মানুষ চিন্তক ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং মানুষ মানবসম্পদে পরিণত হয়। শিক্ষার্জনের মাধ্যমে একজন মানুষ সব বিবেচনায় সমাজের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পায় এবং মানবসন্তান প্রকৃত মানুষে পরিণত হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় শিক্ষা: কুরআন অবতরণের পর থেকে জাগতিক শিক্ষার পাশাপাশি একদল নিবেদিতপ্রাণ মানুষ কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানার্জনে নিজেদের নিয়োজিত করে আসছেন। তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টিলাভ ও নিজেদের আত্মশুদ্ধি এবং সমাজের সংস্কার সাধন করা। এই শিক্ষার বিস্তার প্রথমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হলেও পরবর্তী পর্যায়ে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করে এবং তার জন্য সুনির্দিষ্ট সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এই শিক্ষা দুটো ধারায় বিভক্ত: কওমী ও আলিয়া। প্রত্যেকটির সুনির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম থাকলেও শুরুতে পার্থক্য ছিল খুবই নগণ্য। পাঠ্যক্রম যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া এবং অবশ্যই পরিবর্তনশীল; সেহেতু গত শতাব্দীর আশির দশকে আলিয়া মাদরাসার সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি জাগতিক জ্ঞানের সংযোজন হয়, যার মাধ্যমে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মেডিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিংসহ সকল স্তরের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। ধীরে ধীরে মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল এবং তারা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানার্জন করে ইসলামিক স্কলার হওয়ার পরিবর্তে দাখিল-আলিম পর্যায়ে ভালো রোজাল্ট অর্জন করে মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে নিজেদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেতে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে ক্রমান্বয়ে মাদরাসায় শিক্ষার্থী ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়।

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য পরিবর্তনের কারণ: মাদরাসা শিক্ষার সিলেবাসের মূল থিম কুরআন-সুন্নাহ এবং কুরআন-সুন্নাহর ভাষা আরবী। কুরআন করীমের ঘোষণা অনুযায়ী আরবী পৃথিবীর সহজতম ভাষা: ‘আমি কুরআনকে বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি’ (সূরাহ আল-কামার: ৪০)। তা সত্ত্বেও অপরিপক্ব পাঠপদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের নিকট আরবী ভাষা কঠিনতম ভাষায় পরিণত হয়েছে। ফলে অল্প-স্বল্প আরবী জ্ঞান দ্বারা কুরআন-সুন্নাহর মূল গভীরে পৌঁছানো শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভবিষ্যতের রুট পরিবর্তন করে জাগতিক শিক্ষার রুটে চলে গিয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং অধিকাংশ দুর্বল প্রকৃতির শিক্ষার্থীরা ফাযিল-কামিল পর্যায়ে ভর্তি হয়। তাদের পড়া-লেখা ও পাঠদান অনেকটা অনুবাদনির্ভর হয়ে যায়। সঙ্গতকারণেই কুরআন-সুন্নাহর গভীরে পৌঁছানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। পরীক্ষার গাইড বা সাজেশননির্ভর পড়ালেখা করে ভালো রোজাল্ট অর্জনে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে তাদের জ্ঞানের পরিধি খুবই সীমিত থাকে।

ফাযিল-কামিল পর্যায়ের শিক্ষার সংস্কার: ফাযিল-কামিল বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক। এর বাইরে কোনো বিষয় এই পর্যায়ে পড়ানো হয় না। এ দুটো পর্যায়ের শিক্ষা পরিচালনা পূর্বে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ছিল। কাক্সিক্ষত সফলতার অভাবে প্রথমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে নিজের বোঝা বহনে সফলতার পরিচয় দিতে পারছে না সেখানে ফাযিল-কামিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার কারণে মাদরাসা শিক্ষা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে ফাযিল-কামিল পর্যায়ের শিক্ষা পরিচালানার দায়িত্ব কুষ্টিয়াস্থ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যস্ত করা হলে এক শ্রেণির শিক্ষক-কর্মকর্তা বিভিন্ন পর্যায়ের বাণিজ্য করে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও মাদরাসা শিক্ষার দৃশ্যমান কোনো উন্নতি ঘটেনি। শেষ পর্যায়ে ফাযিল-কামিল বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা পরিচালনার উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এর অধীনে তা ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসার পরও মাদরাসা শিক্ষা বিশেষ করে ফাযিল-কামিল বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার গুণগত কোনো উন্নতি দৃশ্যমান হয়নি একাধিক কারণে। সেগুলো হলো:
ক) বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা গবেষণানির্ভর হয়ে থাকে। ফাযিল-কামিল মাদরাসায় পাঠদানে নিয়োজিত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের গবেষণানির্ভর পাঠদানের অভিজ্ঞতা না থাকায় তাদের পক্ষে সেই পর্যায়ের পাঠদান অনেকটা অসম্ভব। তাছাড়া মাদরাসা সিলেবাসে গবেষণা পদ্ধতির মতো কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত নেই। যে কারণে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দেরও গবেষণাপদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় গবেষণা করে ধর্মীয় বিষয়াদি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মতো বিষয়াদির সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দিতে পারেন না।

খ) সিলেবাস যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া, সেহেতু কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আরব বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাসের মতো যুগোপযোগী করে সাজাতে হবে। ইসলামী শরীয়াহর লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে (Objectives of Shariah)--এর মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সিলেবাসে সংযোজন করা অতীব জরুরি, যাতে করে মাদরাসার গ্র্যাজুয়েটরা ইসলামী বিষয়াদি সম্পর্কে গতানুগতিক বিবেচনার পরিবর্তে ইসলামী শরীয়াহর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সামনে রেখে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সমস্যার সমাধান দিতে পারেন।

গ) সম্মানিত শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে আরব বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে MoU করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে আরবী ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব-এর মাধ্যমে বিদেশী ভাষা শিক্ষার চার স্কিল (Listening, Speaking, Reading & Writing) নিশ্চিত করে আরবী ভাষা শিক্ষার উন্নয়ন অতীব জরুরি।

ঘ) মাদরাসা পরিচালনা কমিটির প্রভাব থেকে যথাসম্ভব মাদরাসা প্রশাসনকে দূরে রাখতে হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

ঙ) সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলা শহরে একটি করে কলেজ সরকারি করা হয়েছে, যা অবশ্যই যুগপোযোগী পদক্ষেপ বলে সর্বমহলে স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ, সারা বাংলাদেশে পূর্ণ সরকারি মাদরাসার সংখ্যা শুধুমাত্র ৩টি। তা আরো বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। কলেজের মতো প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মাদরাসা সরকারিকরণের কথা বলবো না। তবে প্রতি জেলায় একটি কামিল মাদরাসা সরকারিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি। আপাতত পাইলট বেসিসে প্রতি বিভাগে একটি কামিল মাদরাসার সরকারিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ খুব বেশি জটিল নয়।

মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব: ১) দাখিল ও আলিম স্তরে মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম প্রণয়ন করা। প্রয়োজনে এনসিটিবির আদলে মাদরাসার পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য আলাদা সংস্থা গঠন করা।
২) ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদরাসার জন্য ফাজিল-কামিলের নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রণীত বিদ্যমান সিলেবাস আরো পর্যালোচনা, সংশোধন ও পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করা।
৩) এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে মাদরাসার আরবি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।

৪) আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যমান আরবি-ভীতি দূর করতে ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয় ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড-এর সমন্বয়ে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৫) দাখিল ও আলিম মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্য হওয়ার জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্য হওয়ার জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত গভর্নিং বডি গঠন নিশ্চিত করা।
৬) মাদরাসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন: মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়Ñ এগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।

 

৭) বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা। অথবা, দাখিল ও আলিম মাদরাসার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব ইনস্টিটিউটকে প্রদান করে ফাযিল ও কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং প্রভাষক ও তদূর্ধ্ব পদবীধারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়কে অর্পণ করা।

৮) বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা।
৯) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে সরকারিকরণ করা এবং বৃত্তিসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যমান সকল সুযোগ-সুবিধা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর জন্যও নিশ্চিত করা।

১০) ফাযিল ও কামিল স্তরের শিক্ষার্থীদের দ্বৈত ভর্তি বন্ধ করা। এ লক্ষ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৬০% উপস্থিতির শর্তারোপ করা।

১১) বেসরকারি মাদরাসার এমপিওভুক্তি ও শিক্ষকদের মাসিক বেতন প্রদান, পদোন্নতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা তদারকি ছাড়া সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দাখিল ও আলিম স্তরের ক্ষেত্রে মাদরাসা বোর্ড ও ফাযিল ও কামিল স্তরের ক্ষেত্রে ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়কে প্রদান করা।

১২) ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে ৮৭টি মাদরাসায় ৬টি বিষয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। কিন্তু অনার্স প্রোগ্রামের জন্য কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক নেই। অনার্স প্রোগ্রামের প্রত্যেক বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ন্যূনতম দু’জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত করা।

১৩) প্রত্যেকটি বিভাগে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় ও মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা।
মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন প্রকল্পে উপরিউক্ত প্রস্তাবগুলো যথেষ্ট নয়, ব্যাপক পরিকল্পনার কয়েকটি মাত্র। এভাবে মাদরাসা শিক্ষাকে সাজানো গেলে বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষা কাক্সিক্ষত সফলতার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এবং বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষা ভারতীয় উপমহাদেশে মাদরাসা শিক্ষার মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক: প্রফেসর ও মহাপরিচালক, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা